প্রিয় শিক্ষার্থী, আজকে আমরা আলোচনা করবো মহাকর্ষীয় বিভব ঋণাত্নক হয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর যদি জানতে চাও তাহলে নিচের অনুচ্ছেদে সকল লেখাগুলো মনোযোগ সহকারে পড়। আশা করি তোমরা খুব সহজেই মহাকর্ষীয় বিভব ঋণাত্নক হয় কেন তা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
সবার আগে আমরা শিখি মহাকর্ষীয় বিভব কি?
মহাকর্ষীয় বিভব: মহাকর্ষীয় বিভব হলো- মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের মধ্যে অসীম দুর থেকে একক ভরের কোন বস্তকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে যে পরিমান কাজ সম্পাদিত হয় তাকে মহাকর্ষীয় বিভব বলে। এই মহাকর্ষীয় বিভবকে প্রকাশ করা হয়।
আমরা শিখলাম মহাকর্ষীয় বিভব কি? এখন আমরা শিখবো মহাকর্ষীয় বিভব ঋণাত্নক হয় কেন?
মহাকর্ষীয় বিভব ঋণাত্নক হয় কেন তার কারন: অসীম দুর থেকে একক ভরের কোন বস্তকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে আনতে মহাকর্ষীয় বলের বিরুদ্ধে যে কাজ করতে হয় তাকে মহাকর্ষীয় বিভব বলে। এখানে কাজ সম্পাদনের জন্য বাহ্যিক কোন বলের প্রয়োজন হয় না, কেবলমাত্র মহাকর্ষীয় আকর্ষন বল দ্বারা কাজ সম্পাদিত হয়। তাই মহাকর্ষীয় বিভব সবর্দাই ঋনাত্নক। মহাকর্ষীয় বিভবের মান সর্বোচ্চ হবে অসীমে এবং এই মান হবে শুন্য। অসীমে থেকে ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী বস্তুটির দিকে অগ্রসর হলে মহাকর্ষীয় বিভবের মান কমতে থাকে এবং সেই মান ঋনাত্নক হয়। তাই মহাকর্ষীয় বিভবের মান ধনাত্নক হয় না।
ট্যাগ: মহাকর্ষীয় বিভব কাকে বলে, মহাকর্ষীয় বিভব ঋণাত্নক হয় কেন? মহাকর্ষীয় বিভব ধনাত্নক হয় না কেন?